আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি প্রকৃত হিন্দু, বিজেপি হিন্দুত্বের কলঙ্ক।’ আজ (বুধবার) উড়িষ্যা সফরের মধ্যে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে তিনি সেরাজ্যে দলীয় এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে যান। রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পরে তিনি বর্তমানে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রকৃত হিন্দু পরধর্ম সহিষ্ণুতার কথা বলে।’
নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করে মমতা বলেন, কে কী খাবে, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। গরুর গোশত খাওয়া নিয়ে তিনি আগে যা বলেছেন, তা নিয়ে মমতা বলেন, যা বলেছেন, সংবিধান মেনেই বলেছেন। মমতার মতে, বিজেপি যা করছে তা হিন্দুত্ব নয়।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে বিজেপিকে টার্গেট করে মমতা বলেন,‘ওরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের, খৃস্টানদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের, উড়িয়াদের বিরুদ্ধে বাঙালিদের, বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিহারীদের উসকানি দেয়। ওরা ধর্ম, অঞ্চল ও জাতপাতের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত করতে চাচ্ছে।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উড়িষ্যার জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকতে দিতে আপত্তি জানানোয় সোমনাথ কুন্ঠিয়া নামে মন্দিরের এক সেবায়েতকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার উড়িষ্যা পুলিশের ওই সেবায়েত ও তার কয়েকজন সহযোগীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সেবায়েত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ কুন্ঠিয়ার দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে গরু জবাইকে সমর্থন করেছেন। ২০১৬ সালে এক সভায় তিনি গরুর গোশত খাওয়ায় কোনো দোষ নেই বলে মন্তব্য করেন। সুতরাং তাকে মন্দিরে ঢুকতে দেয়া উচিত নয়। এর থেকে স্পষ্ট যে, উনি নিজেও গরুর গোশত খান। তাই আমরা তাকে জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকতে দেব না। মমতা যদি তার বক্তব্য বদলান তাহলে ভেবে দেখব তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া যায় কিনা।‘
তৃণমূল ওই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির হাত থাকার কথা বললেও বিজেপি তা অস্বীকার করেছে।
সূত্র: পার্সটুডে
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই